ঢাকা,বুধবার, ১ মে ২০২৪

চকরিয়ায় ৮জনসহ কক্সবাজারে করোনায় ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত আরও ৬১ জন.

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজার জেলায় দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। যত দিন এগোচ্ছে ততই যেন জেলায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার (২ জুন) বিকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন জেলার ৮ উপজেলাতেই মিলেছে করোনা রোগী। মঙ্গলবার নতুন ৬১ জনকে নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪৬ জনে। এছাড়া শরনার্থী শিবিরের ২৯ রোহিঙ্গা করোনা পজিটিভ রয়েছে। অপরদিকে জেলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় করোনা কেড়ে নিয়েছে ৪ জনের প্রাণ। যা এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ প্রাণহানীর ঘটনা। এর মধ্যে শুধু সদরেরই তিনজন, বাকি একজন টেকনাফের। এনিয়ে জেলায় মৃত্যূ হয়েছে ১৬ জনের।

আজ মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর ল্যাবে ২৩৩ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৬৫ টি নমুনার ফল আসে পজিটিভ। এর মধ্যে নতুন ৬২ টি। আর সদরের সর্বোচ্চ ৩৬ জন সহ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৬১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ৩৬ জন, রামুর-১ জন, চকরিয়ার-৮জন, উখিয়ার ৫ জন, টেকনাফের-২ জন, পেকুয়ার ৬জন, মহেশখালীর ২জন এবং কুতুবদিয়ার ১ জন।

এছাড়া লোহাগাড়া-১ জন নতুন পজিটিভ অছেন। বাকি ৩টি চকরিয়ার ফলোআপ পূর্বের আক্রান্ত। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করেও তাদের শরীরে করোনা পজিটিভ আসেন।বাকি ১৬৮ জনের নেগেটিভ আসে।

এনিয়ে জেলায় ৬২তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়াল মোট ৮৪৬ জন। এর মধ্যে মাত্র শেষ ১৫দিনেই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৫ জন।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল থেকে ২জুন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনার হটস্পট সদর উপজেলায় আক্রান্ত এবং মৃত্যূ সবচেয়ে বেশি। এখানে মোট আক্রান্ত‘র সংখ্যা ৪০৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৩ জন।

এছাড়াও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চকরিয়া উপজেলায় ১৮০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১২জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উখিয়া।এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৩৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৫জন। এর পরে রয়েছে রামুতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩জন।

পেকুয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৬জন,মহেশখালীতে পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন,টেকনাফে পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮জন এবং কুতুবদিয়ায় পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে,১ জুন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন(নিভৃতবাস) ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৩৩৭ জন কভিড-১৯ রোগী এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১৬ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করছেন ১ হাজার ১১০ জন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২৯৮ জন। প্রাতষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ২২০ জন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮৩জন। এ পর্যন্ত জেলায় আর মারা গেছেন ১৬ জন কভিড-১৯ রোগী।এর মধ্যে সদরে ১২ জন,চকরিয়ায় ৩জন এবং রামুতে ১ জন।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা.আবু তোহা চকরিয়া নিউজকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ২৯ রোহিঙ্গা করোনা পজিটিভ হয়েছে। আর রোহিঙ্গা আইসোলেশন ইউনিটে ৩৫ জনের অধিক ভর্তি রয়েছেন।

পাঠকের মতামত: